নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মাসুদ খন্দকার নামে যুবদলের এক নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া খোরশেদ সদ্দারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতম আহত হওয়া মাসুদ খন্দকার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- তাকে আহত করেছে আওয়ামী লীগের কাশেম বাহিনীর প্রধান মো. আবুল কাসেম ও তার বাহিনীর সদস্যরা।
আহত যুবদলের সভাপতি মাসুদ খন্দকারের স্ত্রী নিলুপা ইয়াসমিন জানান, রাত ৮টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে কসেম বাহিনীর প্রধান কাশেম দলবল নিয়ে তার স্বামীর উপর আকস্মিক হামলা চালায়। মাসুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উপর চড়াও হলে তারা পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য এখনও মামলা করতে পারিনি।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল চিকিৎসাধীন মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর কাশেম বিএনপি, ছাত্রনেতাসহ আমার নাম বলে গালিগালাজ করে। এরপর বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে, তার ভাই জাহাঙ্গীর বলেছেন, কাশেম এমন আচরণ আর করবেন না। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে শাসানো হয়েছে। এরপর হঠাৎ করে গতকাল আমার উপর হামলা করে কাশেম বাহিনী।
তিনি বলেন, কাশেম আওয়ামী লীগ করেন। তার নামে হত্যা মামলাসহ দুটি মামলা রয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। আকস্মিক এলাকায় ঢুকে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের উপর গুপ্ত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। সীতাকুণ্ডে ৯৭-৯৮ সালের দিকে বিএনপি নেতা মুন্সি মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনা সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় কাশেমকে।
মামলাটি হওয়ার পর দেশের বাইরে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে এসে মামলা থেকে জামিন নেন। এর কিছুদিন পর দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বাদীকে জিম্মি করে টাকা-পয়সা দিয়ে মামলা থেকে খালাস নেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদ খন্দকারকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি বর্তমানে ২ ওয়ার্ডের ক্যাজুয়ালিটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর জানান, এ ঘটনায় মামলা পক্রিয়াধীন, মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।