ইউক্রেন পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার ছাড়পত্র পাওয়ায় যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি যে বদলে যেতে পারে, মস্কোয় সেই আশঙ্কা বেড়ে চলেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার আরও ভেতরে হামলা হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের খুব কাছে অন্যান্য দেশেও প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর উচ্চপদস্থ সম্পাদকদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে পুতিন এমন হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, রাশিয়া কখনো পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে না, পশ্চিমা বিশ্বের এমন অনুমান ভুল।
আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হচ্ছে। খারকিভে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে সীমান্তের ঠিক অপর প্রান্তে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুর ওপর কিছু পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে রাশিয়া।
পুতিন বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ইউক্রেন যদি আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত হানে, সেক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মনে ইউক্রেন সম্পর্কে কোনো আগ্রহ নেই। তারা নিজের দেশের মহিমায় আগ্রহী।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলের পরোয়া না করে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভেতর থেকেই নিজেকে এবং নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন তিনি।
তবে জো বাইডেন বা ট্রাম্প, যিনিই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তনের আশা করছেন না পুতিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে লেখা এক চিঠির কথা উল্লেখ করে দাবি করেন, পশ্চিমা বিশ্ব চাইলে দুই বা তিন মাসের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারত। ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলেই শান্তি ফেরানো সম্ভব হতো।
তিনি আরও দাবি করেন, ইউক্রেনের হাতে এক হাজার তিনশরও বেশি রুশ সেনা বন্দি। রাশিয়া ছয় হাজার চারশরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি করেছে।
প্রতিবেদন: ডয়েচে ভেলে অবলম্বনে